Facebook Twitter LinkedIn google plusone

04 বন্ড স্প্রেড

বন্ড স্প্রেড

বন্ড স্প্রেড হল দুই দেশের বন্ড ইয়েল্ডের মধ্যে পার্থক্য।

এই পার্থক্য ক্যারি ট্রেডকে আকর্ষিত করে যা আগে আলোচনা করা হয়েছিলো।

বন্ড স্প্রেড এবং ইন্টেরেস্ট রেটের প্রত্যাশা মনিটর করলে, কারেন্সি পেয়ার কোন দিকে যাবে সেটার একটা ধারনা পেতে পারেন।

যা বলতে চাচ্ছিঃ



দুইটা দেশের মধ্যে বন্ড স্প্রেড বাড়লে, যে দেশের বন্ড ইয়েল্ড হাই থাকে, সে দেশের কারেন্সির অন্য কারেন্সির চেয়ে শক্তিশালী হয়।

এই জিনিষটা আপনি নিজে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এর জন্য জানুয়ারি ২০০০ থেকে জানুয়ারি ২০১২ পর্যন্ত এইউডি/ইউএসডি চার্টে প্রাইস অ্যাকশন এবং অস্ট্রেলিয়ান এবং ১০ বছরের সরকারি বন্ডের স্প্রেড দেখুন।

লক্ষ্য করবেন যে যখন ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বন্ড স্প্রেড ০.৫০% থেকে বেড়ে ১.০০% হয়েছিল, এইউডি/ইউএসডি প্রায় ৫০% রাইস করেছিল, ০.৫০০০ থেকে বেড়ে ০.৭০০০ তে গিয়েছিল।

ঠিক এরকম আবার ২০০৭ সালে ঘটেছিল, যখন বন্ড স্প্রেড বেড়ে ১.০০% থেকে ২.৫০% হয়েছিল। এইউডি/ইউএসডি ০.৭০০০ থেকে বেড়ে ০.৯০০০ তে গিয়েছিল। প্রায় ২০০০ পিপ।

২০০৮ সালে যখন রিসেশন দেখা দিলো আর সব সেন্ট্রাল ব্যাংক ইন্টেরেস্ট রেট কমানো শুরু করলো, এইউডি/ইউএসডি ০.৯০০০ থেকে ০.৭০০০ তে নেমে এসেছিলো।





তো এখানে কি হোল?

একটা ফ্যাক্টর হল যে ট্রেডাররা ক্যারি ট্রেডের সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।

যখন অস্ট্রেলিয়ান বন্ড এবং ইউএস ট্রেজারির বন্ড স্প্রেড বাড়ছিলো ট্রেডাররা এইউডি/ইউএসডি লং পজিশন নিচ্ছিল।
কেনো?

ক্যারি ট্রেড থেকে লাভ করতে।

যেই না রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া তাদের রেট কমাতে শুরু করলো আর বন্ড স্প্রেড কমতে শুরু করলো, ট্রেডাররা তাদের লং এইউডি/ইউএসডি পজিশন ক্লোজ করা শুরু করলো যেহেতু তখন ট্রেড ধরে রাখা আর লাভজনক নয়।

Contact Us

নাম

ইমেল *

বার্তা *

সূচীপত্র

ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সকল ম্যাটেরিয়াল শেখার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা এবং বিনিয়োগের জন্য উপযোগী নয়।
আপনার সাথে জড়িত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোন লাভ অথবা ক্ষতির ভার পিপকমিউনিটি বহন করবে না।
কপিরাইট © ২০১৭ পিপকমিউনিটি - বাংলা ফরেক্স স্কুল | Bangla Forex School। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Scroll Up