ডে-ট্রেডিং
ডে-ট্রেডিং হল আরেকটা সর্ট-টার্মের ট্রেডিং স্টাইল, কিন্তু স্ক্যাল্পিং থেকে ভিন্ন। এখানে সাধারনত দিনে একটা ট্রেড করা হয় যেটা আবার দিন শেষ হবার আগেই ক্লোজ করে দেয়া হয়। এসব ট্রেডাররা সাধারনত দিনের শুরুতে একটা দলের (বুল বা বিয়ার) পক্ষ নেয়, নিজেদের বায়াসের উপর কাজ করে, আর দিন শেষ করে প্রফিট অথবা লসে। তারা তাদের ট্রেড পরের দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে পছন্দ করে না।
ডে-ট্রেডিং তাদের জন্য যাদের অ্যানালাইজ, ট্রেড এক্সিকিউট এবং ম্যানেজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে সময় থাকে। যদি আপনি চিন্তা করে থাকেন যে স্ক্যাল্পিং খুব দ্রুত আর সুইং ট্রেডিং একটু স্লো, তাহলে ডে-ট্রেডিং আপনার জন্য হতে পারে।
আপনি ডে-ট্রেডার হতে পারেন যদিঃ
- আপনি একদিনের মধ্যে ট্রেড শুরু এবং শেষ করতে পছন্দ করেন।
- দিনের শুরুতে আপনার মার্কেট অ্যানালাইজ করার জন্য সময় দিতে হবে আর সেটা সারাদিন মনিটর করতে হবে।
- দিনের শেষে আপনি লাভ না লস করলেন সেটা আপনার জেনে ঘুমাতে যেতে হয়।
ডে-ট্রেডার হবেন না যদিঃ
- আপনি লং অথবা সর্ট টার্মের ট্রেডিং পছন্দ করেন।
- আপনার সারাদিনে মার্কেট অ্যানালাইজ এবং মনিটর করার সময় নেই।
- আপনার ডে-জব আছে।
যদি ডে-ট্রেডিং করতে চান সেজন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
সাম্প্রতিক ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট সম্পর্কে অবগত থাকবেন যাতে একটা ডায়রেকশন নিশ্চিত করতে পারেন
ইকোনোমিক নিউজের ব্যাপারে নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখবেন যাতে আপনি দিনের শুরুতে ট্রেডিং ডিসিশন নিয়ে রাখতে পারেন।
ট্রেড মনিটর করার জন্য সময় আছে?
যদি আপনার ফুল টাইম চাকরি থাকে, তাহলে এটা চিন্তা করে নিন যে আপনি নিজের কাজ এবং ট্রেডিঙের মধ্যে সময় যোগাড় করবেন কিভাবে। আরও বলবো...যে সবসময় চার্টের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত যেন না হন।
বিভিন্ন ধরনের ডে-ট্রেডিং
ট্রেন্ড ট্রেডিং
যখন বড় কোন টাইমফ্রেম দেখে ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করে ট্রেড করা হয় সেটাকে ট্রেন্ড ট্রেডিং বলে। একবার ওভারঅল ট্রেন্ড এস্টাব্লিশ হলে, ছোট টাইমফ্রেমে ট্রেন্ডের ডায়রেকশনে ট্রেডের সুযোগ খোজা হয়। ছোট টাইমফ্রেমে ইনডিকেটর ব্যাবহার করে নিজের এন্ট্রি সুযোগ খুজে নিতে পারেন। একটা উদাহরন দিয়ে দেখি।
বড় টাইমফ্রেম দেখে প্রথমে ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করুন। ট্রেন্ড কনফার্ম করতে ইনডিকেটর ব্যাবহার করতে পারেন।
ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করার পরে, ছোট টাইমফ্রেমে গিয়ে ট্রেন্ডের ডায়রেকশনে এন্ট্রি খোজার চেষ্টা করেন। মনে আছে মাল্টি-টাইম ফ্রেম অ্যানালিসিস?
কাউন্টার ট্রেন্ড ট্রেডিং
কাউন্টার ট্রেন্ড ট্রেডিং হল ট্রেন্ড ট্রেডিঙের মতই। পার্থক্য হল ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করার পরে, ট্রেন্ডের বিপরীতে ট্রেডের সুযোগ খুজবেন। এখানে ট্রেন্ড শেষ হওয়ার সুযোগ খোজা হয় যেখানে ট্রেন্ড রিভার্সে আগে এন্ট্রি করবেন। এটা একটু রিস্কি কিন্তু রিটার্ন অনেক হতে পারে।
উপরে ৪ ঘণ্টার চার্টে ডাউনন্ট্রেন্ডকে ক্লান্ত দেখা যাচ্ছে। এটা থেকে আমরা ইঙ্গিত পাই যে মার্কেট রিভার্সালের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।
যেহেতু আমরা “কাউন্টার ট্রেন্ড” এর কথা চিন্তা করছি, তাই আমরা ছোট টাইমফ্রেমে ওভারঅল ট্রেন্ডের বিপরীত দিকে ট্রেড করার সুযোগ খুজবো।
মনে রাখবেন, ট্রেন্ডের বিপরীতে ট্রেড করা অনেক রিস্কি, কিন্তু যদি সময়মত মার্কেটে ঢোকা যায়, তাহলে লাভও অনেক বেশী।
ব্রেকআউট ট্রেডিং
যখন কোন পেয়ার দিনে নির্দিষ্ট কোন সময়ে রেঞ্জ তৈরি করে আর সেটা যে ডায়রেকশনেই ব্রেক করুক, সেটাকে ট্রেড করাকে ব্রেকআউট ট্রেডিং বলে। এটা কার্যকর বিশেষকরে যখন কোন পেয়ার টাইট রেঞ্জের মধ্যে মুভ করে। সেটা ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেট এখন বড় ধরনের কোন মুভ করতে পারে। আপনার উদ্দেশ্য হবে যে নিজেকে সেই মুভে ট্রেডের জন্য প্রস্তুত রাখা।
ব্রেকআউট ট্রেডিঙে, আপনি রেঞ্জ নির্ধারণ করবেন যেখানে প্রাইস সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স এর মধ্যে আটকে আছে। সেটা নির্ধারণ করার পরে আপনি আপনার এন্ট্রি পয়েন্ট সেটার উপর এবং নিচে সেট করবেন। রীতিমত আপনার টার্গেট পিপ রেঞ্জের সমান নির্ধারণ করা উচিৎ। প্রয়োজন হলে ব্রেকআউট ট্রেডিং সম্পর্কে আবার রিভিউ দিতে পারেন।
ডে-ট্রেডিং হল আরেকটা সর্ট-টার্মের ট্রেডিং স্টাইল, কিন্তু স্ক্যাল্পিং থেকে ভিন্ন। এখানে সাধারনত দিনে একটা ট্রেড করা হয় যেটা আবার দিন শেষ হবার আগেই ক্লোজ করে দেয়া হয়। এসব ট্রেডাররা সাধারনত দিনের শুরুতে একটা দলের (বুল বা বিয়ার) পক্ষ নেয়, নিজেদের বায়াসের উপর কাজ করে, আর দিন শেষ করে প্রফিট অথবা লসে। তারা তাদের ট্রেড পরের দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে পছন্দ করে না।
ডে-ট্রেডিং তাদের জন্য যাদের অ্যানালাইজ, ট্রেড এক্সিকিউট এবং ম্যানেজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে সময় থাকে। যদি আপনি চিন্তা করে থাকেন যে স্ক্যাল্পিং খুব দ্রুত আর সুইং ট্রেডিং একটু স্লো, তাহলে ডে-ট্রেডিং আপনার জন্য হতে পারে।
আপনি ডে-ট্রেডার হতে পারেন যদিঃ
- আপনি একদিনের মধ্যে ট্রেড শুরু এবং শেষ করতে পছন্দ করেন।
- দিনের শুরুতে আপনার মার্কেট অ্যানালাইজ করার জন্য সময় দিতে হবে আর সেটা সারাদিন মনিটর করতে হবে।
- দিনের শেষে আপনি লাভ না লস করলেন সেটা আপনার জেনে ঘুমাতে যেতে হয়।
ডে-ট্রেডার হবেন না যদিঃ
- আপনি লং অথবা সর্ট টার্মের ট্রেডিং পছন্দ করেন।
- আপনার সারাদিনে মার্কেট অ্যানালাইজ এবং মনিটর করার সময় নেই।
- আপনার ডে-জব আছে।
যদি ডে-ট্রেডিং করতে চান সেজন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
সাম্প্রতিক ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট সম্পর্কে অবগত থাকবেন যাতে একটা ডায়রেকশন নিশ্চিত করতে পারেন
ইকোনোমিক নিউজের ব্যাপারে নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখবেন যাতে আপনি দিনের শুরুতে ট্রেডিং ডিসিশন নিয়ে রাখতে পারেন।
ট্রেড মনিটর করার জন্য সময় আছে?
যদি আপনার ফুল টাইম চাকরি থাকে, তাহলে এটা চিন্তা করে নিন যে আপনি নিজের কাজ এবং ট্রেডিঙের মধ্যে সময় যোগাড় করবেন কিভাবে। আরও বলবো...যে সবসময় চার্টের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত যেন না হন।
বিভিন্ন ধরনের ডে-ট্রেডিং
ট্রেন্ড ট্রেডিং
যখন বড় কোন টাইমফ্রেম দেখে ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করে ট্রেড করা হয় সেটাকে ট্রেন্ড ট্রেডিং বলে। একবার ওভারঅল ট্রেন্ড এস্টাব্লিশ হলে, ছোট টাইমফ্রেমে ট্রেন্ডের ডায়রেকশনে ট্রেডের সুযোগ খোজা হয়। ছোট টাইমফ্রেমে ইনডিকেটর ব্যাবহার করে নিজের এন্ট্রি সুযোগ খুজে নিতে পারেন। একটা উদাহরন দিয়ে দেখি।
বড় টাইমফ্রেম দেখে প্রথমে ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করুন। ট্রেন্ড কনফার্ম করতে ইনডিকেটর ব্যাবহার করতে পারেন।
ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করার পরে, ছোট টাইমফ্রেমে গিয়ে ট্রেন্ডের ডায়রেকশনে এন্ট্রি খোজার চেষ্টা করেন। মনে আছে মাল্টি-টাইম ফ্রেম অ্যানালিসিস?
কাউন্টার ট্রেন্ড ট্রেডিং
কাউন্টার ট্রেন্ড ট্রেডিং হল ট্রেন্ড ট্রেডিঙের মতই। পার্থক্য হল ওভারঅল ট্রেন্ড নির্ধারণ করার পরে, ট্রেন্ডের বিপরীতে ট্রেডের সুযোগ খুজবেন। এখানে ট্রেন্ড শেষ হওয়ার সুযোগ খোজা হয় যেখানে ট্রেন্ড রিভার্সে আগে এন্ট্রি করবেন। এটা একটু রিস্কি কিন্তু রিটার্ন অনেক হতে পারে।
উপরে ৪ ঘণ্টার চার্টে ডাউনন্ট্রেন্ডকে ক্লান্ত দেখা যাচ্ছে। এটা থেকে আমরা ইঙ্গিত পাই যে মার্কেট রিভার্সালের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।
যেহেতু আমরা “কাউন্টার ট্রেন্ড” এর কথা চিন্তা করছি, তাই আমরা ছোট টাইমফ্রেমে ওভারঅল ট্রেন্ডের বিপরীত দিকে ট্রেড করার সুযোগ খুজবো।
মনে রাখবেন, ট্রেন্ডের বিপরীতে ট্রেড করা অনেক রিস্কি, কিন্তু যদি সময়মত মার্কেটে ঢোকা যায়, তাহলে লাভও অনেক বেশী।
যখন কোন পেয়ার দিনে নির্দিষ্ট কোন সময়ে রেঞ্জ তৈরি করে আর সেটা যে ডায়রেকশনেই ব্রেক করুক, সেটাকে ট্রেড করাকে ব্রেকআউট ট্রেডিং বলে। এটা কার্যকর বিশেষকরে যখন কোন পেয়ার টাইট রেঞ্জের মধ্যে মুভ করে। সেটা ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেট এখন বড় ধরনের কোন মুভ করতে পারে। আপনার উদ্দেশ্য হবে যে নিজেকে সেই মুভে ট্রেডের জন্য প্রস্তুত রাখা।
ব্রেকআউট ট্রেডিঙে, আপনি রেঞ্জ নির্ধারণ করবেন যেখানে প্রাইস সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স এর মধ্যে আটকে আছে। সেটা নির্ধারণ করার পরে আপনি আপনার এন্ট্রি পয়েন্ট সেটার উপর এবং নিচে সেট করবেন। রীতিমত আপনার টার্গেট পিপ রেঞ্জের সমান নির্ধারণ করা উচিৎ। প্রয়োজন হলে ব্রেকআউট ট্রেডিং সম্পর্কে আবার রিভিউ দিতে পারেন।