Facebook Twitter LinkedIn google plusone

10 চায়না

চায়না

যদি আপনি চায়না সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে এটা জানেন যে বিশ্বে সবচেয়ে বেশী জনসংখ্যা আর গ্রেট ওয়াল আছে চায়নাতে।

চায়না ২২১ বিসিতে ইউনিফাইড দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো। কিন ডাইনাস্টি তখন চীন সাশন করত। তখন তাদের কোন মোটা পান্ডা কুংফু মাস্টার ছিল না। তখন থেকে, অনেক ডাইনাস্টির উত্থান পতন হয়েছে আর সেটা চলেছে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত যখন পিপলস রিপাবলিক অব চায়না গঠিত হয়েছে।

খুব বেশীদিন হয়নি যে চায়না একটি বৈধ বিশ্ব শক্তি হিসেবে উদিত হয়েছে। তারা বিশ্বমানের শহর, অলিম্পিক গোল্ড মেডালিস্ট এবং সুস্বাদু dimsum নিয়ে বড়াই করে। সেখানে শুধু Yao Ming এর জন্মই হয়নি, তারা ৩য় দেশ যারা পৃথিবীর বাইরে মানুষ পাঠিয়েছে।

খেলাধুলা, মহাকাশ ভ্রমন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ক্ষমতা পর্যন্ত, চায়না আস্তেআস্তে লিডারদের মধ্যে চলে আসছে।

চীনঃ ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারস

প্রতিবেশী: কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, ভারত, জাপান, রাশিয়া
ফাইলের আকার: ৩,৭০৪,৪২৭ বর্গ মাইল
জনসংখ্যা: ১,৩৪৭,৩৫০,০০০
জনাকীর্ণতা: ৩৬৩.৩ জন প্রতি বর্গ মাইলে
রাজধানী: বেইজিং (জনসংখ্যা: ১১,৭১৬,০০০)
সরকার প্রধান: Hu Jintao
মুদ্রা: চীনা রেনমিনিবি / ইউয়ান (CNY)
মুখ্য আমদানি: পেট্রোলিয়াম, তামা, লোহা, ইস্পাত, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জৈব রাসায়নিক
মুখ্য রপ্তানি: চাল, পোশাক, পোশাক, অফিস মেশিন, ইলেকট্রনিক পণ্য, যন্ত্রপাতি, ইস্পাত, ইও মিং, জ্যাকি চ্যান, অ্যাপল আইপ্যাড, চেরি গাড়ি।
আমদানি পার্টনার: জাপান ১২.৭%, দক্ষিণ কোরিয়া ৯.৯%, ৭.৩% ইউএস, জার্মানি ৫.৩%, অস্ট্রেলিয়া, ৪.৩৭%।
রপ্তানি পার্টনার: ইউএস ১৮.০%, জাপান ৭.৭%, দক্ষিণ কোরিয়া ৪.৪%, ৪.৩% জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ৩.২%।
টাইমজোন: জিএমটি +৮, জিএমটি +৭, জিএমটি +৬, জিএমটি +৫, জিএমটি? +৪
ওয়েবসাইট: http://english.gov.cn/





ইকোনোমিক ওভারভিউ

২০০৯ সালের শেষের দিকে চায়না জাপানকে টপকে বিশ্বের ২য় সর্ববৃহৎ ইকোনোমির উপাধি নিয়েছে এবং ২০১২ সালে তাদের জিডিপি ৮ ট্রিলিয়নের উপরে ছিল।

তাদের সবসময় এরকম অবস্থা ছিল না। দীর্ঘ সময় ধরে চায়নার ইকোনোমি স্বতন্ত্র ছিল। যখন মডার্ন গভমেন্ট গঠিত হয়, পিপলস রিপাবলিক অব চায়না, তখন চায়না বিশ্বের জন্য তাদের দরজা খোলে।

১৯৯০ এবং ২০০০ এর দিকে চায়না অস্বাভাবিক উন্নতি করে। তারা উন্নয়নের পরিমান ছিল ডাবল ডিজিটের। এটা তাদের বুমিং ইকোনোমিকে এমারজিং মার্কেট বিকাশে সামনের সারিতে এনে দিয়েছে।

মজার ব্যাপার হল, তাদের মোট জিডিপির ৬০% এর বেশী কৃষি এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল শিল্প থেকে আসে।

রপ্তানি এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। এর পেছনে ছিল yuan যা অবমূল্যায়িত ছিল আর সেটা তাদের পণ্যকে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অনেক আকর্ষণীয় করে তুলেছিল।

সম্প্রতি মানুষের মনে একটা ভয় এসেছে যে চাইনীজ ইকোনোমি অতিতপ্ত হতে পারে। এথেকে বাচার জন্য, চাইনীজ গভমেন্ট বিভিন্ন মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি বাস্তবায়ন করেছে যেটা বৃদ্ধির মাত্রা সহনীয় করে তুলবে। 

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

পিপলস ব্যাংক অব চায়না (PBoC) বেইজিঙে অবস্থিত। তারা চীনের মনেটারি পলিসির দায়িত্বে আছে। ইন্টেরেস্ট রেট এবং রিজার্ভ রেশিও নিয়ন্ত্রন ছাড়াও, PBoC চায়নার মুলভুখন্ডের ফিনান্স্যিয়াল ইন্সটিটিউশনের রেগুলেশনের দায়িত্বে আছে।

একটা ট্রিভিয়াঃ আপনি কি জানেন যে এই জগতে যত পাবলিক ফিনান্স্যিয়াল ইন্সটিটিউশন আছে তাদের মধ্যে PBoC সবচেয়ে বেশী ফিনান্স্যিয়াল অ্যাসেটের অধিকারী? বর্তমানে ৩ ট্রিলিয়ন USD সমমানের ট্রেজারি বিল তাদের দখলে, তার ওপরে অন্যান্য দেশের বন্ডস।

এটা বিস্ময়কর কিছু না যে কিভাবে চীন ইকোনোমিক পারফরফেন্সে অন্যান্য দেশকে টপকে গেছে।

PBoC সম্পর্কে আরেকটা মজাদার জিনিস হল যে কয়েকবছর আগে তাদের ইন্টেরেস্ট রেট ২৫ এর বদলে ৯ দ্বারা বিভাজ্য ছিল। এর কারন হল চাইনীজদের রেট সিস্টেম অ্যাবাকাস ভিত্তিক ছিল, যেটা ৯ গুনিতকে সেট করা ছিল। চিন্তা করে দেখুন যে ০.১৮% বেঞ্চমার্ক রেটে বৃদ্ধি কিভাবে পড়া হত?

সম্প্রতি PBoC তাদের ট্রেডিশনাল পদ্ধতি ত্যাগ করে ইন্টেরেস্ট রেট ০.২৫% করে বাড়ানোর পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।
আসলে চাইনীজ ইকোনোমি কিরকম করছে, PBoC তার ভিত্তিতে আগ্রেসিভ ইন্টেরেস্ট রেট পরিবর্তনের জন্য কুখ্যাত।
ইন্টেরেস্ট রেট ছাড়া, PBoC এর কাছে মনেটারি পলিসি নিয়ন্ত্রনের জন্য reserve ratio requirement (RRR) ট্যুল আছে।

RRR হল চাইনীজ ব্যাংকগুলোর একটা নির্দিষ্ট পরিমানে অর্থ তাদের কাছে থাকতে হবে। রেশিওতে পরিবর্তন এনে, কত পরিমানে অর্থ ইকোনোমিতে সরবরাহ করা যাবে, PBoC সেটা ইনফ্লেশন নিয়ন্ত্রন করতে ব্যাবহার করে।

CNY কে চেনা

জিডিপি – এটা তাদের জন্য রিপোর্ট কার্ডের মত কাজ করে। কোন রিপোর্টিং পেরিয়োডে তাদের ইকোনোমি প্রসারিত নাকি সঙ্কুচিত হয়েছে তা জিডিপি দ্বারা দেখা যায়। এটা সাধারনত ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত হয় যেটা বিগত বছরের প্রকাশনার একই পেরিয়োডের সাথে তুলনা করা হয়।

সিপিআই – সিপিআই এর উপর PBoC করা নজর রাখে কারন এটা দিয়ে তারা দেখতে পারে যে নির্দিষ্ট কোন টাইম পেরিয়োডে প্রাইসে কতটা পরিবর্তন এসেছে। যদি সিপিআই যদি চাইনীজ গভমেন্টের টার্গেট লেভেলের বেশী অথবা কম হয় তাহলে পরবর্তী রেট ডিসিশনের সময় PBoC তাদের মনেটারি পলিসি ট্যুলস ব্যাবহার করতে পারে।

ট্রেড ব্যালেন্স – চীনের ইকোনোমির একটা বড় অংশ জুড়ে আছে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড। এর মানে ট্রেড ব্যালেন্স ইকোনোমিক প্রসারের জন্য লিডিং ইনডিকেটর হিসেবে কাজ করে।

PBoC Interest Rate Decision – আগে বলেছিলাম যে PBoC মনেটারি পলিসি পরিবর্তনে এগ্রেসিভ। যখনই তারা দেখে যে চাইনীজ ইকোনোমি অতিতপ্ত হচ্ছে অথবা তাদের উদ্দীপনার প্রয়োজন তারা পলিসিতে পরিবর্তন আনে।


চাইনীজ ইকোনোমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে ট্রেড করা

যদিও yuan ট্রেড করার সুব্যাবস্থা এখনো হয়নি, তার মানে এই না যে আমরা তাদের দ্বারা কোন পিপ অর্জন করতে পারবো না।

চাইনিজ ইকোনোমি বিশাল, আর তাদের দেশে ঘটা ইকোনোমিক ইভেন্ট সেসব দেশের ওপর প্রভাব ফেলে যারা তাদের সাথে ঘনিস্টভাবে জড়িত আছে। এরকম একটি দেশ হল অস্ট্রেলিয়া। চীন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ট্রেডিং পার্টনার। এই দুটি দেশ প্রতি বছর প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের মত পণ্যদ্রব্য লেনদেন করে।

এটা দিয়ে, চাইনীজ ইকোনোমিক ডাটা রিলিজ মেজর কারেন্সিগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ডলারের উপর সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলে। চীনের জন্য ভালো কোন ইকোনোমিক ডাটা ইঙ্গিত করে যে অস্ট্রেলিয়ান কমোডিটির ডিমান্ড চীনে বেড়ে যেতে পারে। আবার খারাপ ডাটা ইঙ্গিত করে যে অস্ট্রেলিয়ান কমোডিটির ডিমান্ড চীনে কমে যেতে পারে।

যেহেতু চাইনীজ ইকোনোমি বর্তমানে আঙ্গেল স্যামের পরে ২য় সর্ববৃহৎ ইকোনোমি, তাদের অর্থনৈতিক স্থিতি রিস্ক সেন্টিমেন্টের উপরে অনেক প্রভাব ফেলে। এর মানে যদি চীনের অবস্থা মন্দা যায় তাহলে সেটা ট্রেডারদের রিস্ক অ্যাপেটাইট এবং হাই ইয়েল্ডিং কারেন্সির ওপর আস্থা কমিয়ে দিতে পারে। কারন এর প্রভাবে গ্লোবাল ইকোনোমিতে ধীরগতি আসতে পারে। অন্যদিকে, ইকোনোমিক বুমের সময় চীন রিস্কের জন্য পজিটিভ ভিউ আনতে পারে। কারন মার্কেটে অংশগ্রহণকারীরা এটাকে গ্লোবাল ইকোনোমির জন্য লাভজনক হিসেবে দেখে।

ট্রেডের কৌশল

আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দিকে চোখ রাখেন, তাহলে আপনার চাইনীজ ইকোনোমিক রিলিজ এবং PBoC স্টেটমেন্টের দিকে নজর রাখা প্রয়োজন।

বেশীরভাগ সময় যা আশা করা হয়েছিলো তাদের চেয়ে ভালো রিপোর্ট AUD/USD অথবা AUD/JPY কে শক্তিশালী করে। আবার দুর্বল রিপোর্ট Aussie সেলের কারন হয়ে দাড়ায়। PBoC রেট ডিসিশনের প্রভাব বোঝা একটু কষ্টকর হতে পারে কারন মার্কেট সেন্টিমেন্ট অন্যকথা বলতে পারে। প্রয়োজনে কোন এক্সপার্টের মতামত খোজ করে দেখতে পারেন।  

Contact Us

নাম

ইমেল *

বার্তা *

সূচীপত্র

ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সকল ম্যাটেরিয়াল শেখার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা এবং বিনিয়োগের জন্য উপযোগী নয়।
আপনার সাথে জড়িত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোন লাভ অথবা ক্ষতির ভার পিপকমিউনিটি বহন করবে না।
কপিরাইট © ২০১৭ পিপকমিউনিটি - বাংলা ফরেক্স স্কুল | Bangla Forex School। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Scroll Up