Facebook Twitter LinkedIn google plusone

02 ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা

ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা

ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা ৫০টি স্টেট এবং ১টি ফেডারেল বিভাগ নিয়ে গঠিত। দেশের বেশীরভাগ নর্থ আমেরিকাতে, কিন্তু প্যাসিফিক অঞ্চলেও ইউনাইটেড স্টেটের কিছু অংশ আছে।

জুলাই ১৭৭৬ সালে ইউকে থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পরে, ইউএস শুধু ওয়েস্টে ইকোনোমিক সুপারপাওয়ার হয়নি, বরং সারা বিশ্বে হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইকোনোমি হওয়াতে, ইউএস গ্লোবাল মার্কেটে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আমেরিকাতে যেকোনো ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট যেমন, কনজুমার স্পেন্ডিঙ্গে ওঠা অথবা নামা, কিংবা প্রেসিডেন্টের কোন ব্যাপার পাবলিকের কাছে পৌছালে, সারা বিশ্বের ইকোনোমিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।

ইউনাইটেড স্টেটসঃ ফ্যাক্টস, ফিগারস, এবং ফিচারসঃ

প্রতিবেশী দেশঃ কানাডা, মেক্সিকো, পুয়ের্তো রিকো, কিউবা
আয়তনঃ ৩,৭৯৪,১০১ স্কয়ার মাইল
জনসংখ্যাঃ ৩০৯,৩৪৯,৬৮৯
ডেনসিটিঃ প্রতি স্কয়ার মাইলে ৮৭.৪ জন
রাজধানীঃ ওয়াশিংটন ডি,সি.
সরকার প্রধান: রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প
কারেন্সিঃ ইউএস ডলার (ইউএসডি)
মুখ্য আমদানিঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাপ্লাই (ক্রুড অয়েল ইত্যাদি), পুজি পণ্য (কম্পিউটার, টেলিকমের সরঞ্জাম, অটোমোবাইল পার্টস, অফিস মেশিন, ইলেক্ট্রিক পাওয়ার মেশিনারি), কনজুমার পণ্যদ্রব্য (অটোমোবাইল, কাপড়, মেডিসিন, ফার্নিচার, খেলনা), এবং কৃষিজাত দ্রব্য।
মুখ্য রপ্তানিঃ পুঁজি পণ্য (ট্রানজিস্টর, বিমান, অটোমোবাইল পার্টস, কম্পিউটার, টেলিকম সরঞ্জাম), শিল্প সরবরাহ (জৈব রাসায়নিক), ভোগ্যপণ্যের (অটোমোবাইল, ওষুধ), কৃষি পণ্য (সয়াবিন, ফল, ভুট্টা), বারবি, এক্সবক্স কনসোল, এবং অ্যাপল পণ্য।
ইম্পোর্ট পার্টনারস: চীন (২৭%), কানাডা (২১.৪%), মেক্সিকো (১৭.৮%), জাপান (৮.৭%), জার্মানি (৬.৬%)
এক্সপোর্ট পার্টনারস: কানাডা (১৯.৪%), মেক্সিকো (১২.৮%), চীন (৭.২%) এবং জাপান (৪.৭%)
টাইম জোনঃ জিএমটি -১০, জিএমটি -৯, জিএমটি -৮, জিএমটি -৭, জিএমটি -৬, জিএমটি -৫
ওয়েবসাইটঃ http://www.usa.gov







অর্থনৈতিক ওভারভিউ 

ব্যাপকভাবে ইউএসকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনি দেশ হিসেবে ধরা হয়। তারা ২০১১ সালে $১৫.০৯ ট্রিলিয়ন আউটপুট দিয়েছে। তারা ২০১১ সালে মাথাপিছু আয়ের ভিত্তিতে ৮ম হয়েছে। মাথাপিছু আয় = দেশের মোট ইনকাম / জনসংখ্যা যেটা প্রতিবছর প্রায় $৪৮,৩৮৬।

ইউএস এর প্রধান ইন্ডাস্ট্রি হোল বিমান, অটোমোবাইল, ট্রানজিস্টর, টেলিকম সরঞ্জাম, এবং অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য। যদিও দেখা যায় যে ইউএস ইকোনোমির বেশীরভাগ পণ্য উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল, আসলে তাদের ৭০% আউটপুট হয় সার্ভিস সেক্টর থেকে।

বাণিজ্যের কথা বলতে গেলে, ইউএস ইকোনোমির একটা বৈশিষ্ট্য হল যে দেশটি বানিজ্যিক ঘাটতির অথবা ট্রেড ডেফিসিটের জন্য কুখ্যাত। ট্রেড ডেফিসিট হল যে পরিমান রপ্তানি করা হয়, তার চেয়ে বেশী আমদানি হয়।

ইউএস এতে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের আছে, যেটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টক এক্সচেঞ্জ। এদেশে আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় বন্ড মার্কেট আছে, যেখানে মূলধন $৩১ ট্রিলিয়নের বেশী এবং দৈনিক গড়ে $৮২২ এর বেশী বন্ড ট্রেড করা হয়।
আজকের গ্লোবাল মার্কেটে সেরা ইকোনোমি হওয়াতে, দেশের ভেতরে যেকোনো ইভেন্ট যেটা ইউএস এর উপর প্রভাব ফেলে, সেটার প্রভাব অন্যান্য দেশেও পড়তে পারে। ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটেও।

মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি

ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড (ফেড), আমেরিকার মনেটারি পলিসি নির্ধারণ এবং কার্যকর করে।

 মনেটারি পলিসি দ্বারা ফেড ইকোনোমিতে মানি সাপ্লাই নিয়ন্ত্রন করে। এটা ফেডকে অন্যান্য সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে আলাদা করে কারন তাদের লক্ষ্য থাকে মনেটারি পলিসির লং-টার্মের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে।

ফেডের ২টা প্রধান লক্ষ্য আছে। প্রথমটা হল কনজুমার পণ্যদ্রব্য এবং সার্ভিসের মূল্য স্থিতিশীল রাখা। দ্বিতীয়টা হল সহনীয় অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করা।

ফেডারেল গভর্নরের নেতৃত্বে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC) পরিচালিত হয়। FOMC এর কাজ হল মনেটারি পলিসিতে নিরাপদ এবং যুক্তিযুক্ত ডিসিশন নেয়া।

FOMC এর ২টা অস্র আছে যেগুলো ইনফ্লেশন এবং তাদের লং-টার্মের লক্ষ্য সাধনে ব্যাবহার করা হয়। সেগুলো হল ওপেন মার্কেট অপেরাশন (OMO) এবং ফেড ফান্ড রেট।

ফেডের প্রথম সারির ডেফেন্স হল, ওপেন মার্কেট অপারেশন। যার মধ্যে সরকারী ফিন্যান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট যেমন সিকিউরিটিজ, নোটস এবং বন্ডস পরে।

ফেড ফান্ড রেট, এটা আরও শক্তিশালী। ফেড যে হারে কমার্শিয়াল ব্যাংকদের লোন সেটাকে ফেড ফান্ড রেট বলে।
ইউএস ট্রেজারি ফিস্ক্যাল পলিসি নির্ধারণ করে। ফিস্ক্যাল পলিসি দ্বারা সরকার খরচ এবং ট্যাক্স কালেকশন করে যেটা অর্থনীতির দিক নির্ধারণ করে।

উদাহরণস্বরূপ ব্যাবসায়িক কার্যকলাপ বাড়াতে, ইউএস ট্রেজারি ট্যাক্স কমিয়ে দিতে পারে এবং ক্যাপিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচারে যেমন হাইওয়ে, স্কুল, ব্রডব্যান্ড ইত্তাদির বাজেট বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, যদি ইনফ্লেশন মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, ট্যাক্স বাড়িয়ে খরচ কমানোর চেষ্টা করতে পারে।

ইউএসডিকে চেনা 

আপনি কি জানেন যে ডলারের ডাকনাম হল “বাক” যেটা বাক্সিন থেকে এসেছে, আগে আমেরিকান এবং ইন্ডিয়ানদেড় জন্য একটা এক্সচেঞ্জের একটা প্রচলিত মাধ্যম ছিল?

বারটার সিস্টেমকে পেপার কারেন্সি রিপ্লেস করলেও, মানুষ এখনো বাক শব্দটি ব্যাবহার করে থাকে। বাকের নিম্নোক্ত ফরেক্স সম্বন্ধীয় বিশিষ্টগুলো দেখুনঃ

লিকুইডিটি

দৈনিক প্রচুর পরিমানে লেনদেনে ইউএসডি ব্যাবহার হয়। গোল্ড এবং ক্রুড অয়েল ডলারে হিসাব করা হয়। এশিয়ান সেশনের সময়, কারেন্সি লেনদেনের প্রায় ৯৩% ডলার ব্যাবহার করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ইউএস বন্ড মার্কেটকে নিন।  NYSE তে লিস্ট করা কোম্পানিগুলোর মূল্য প্রায় $২৮.৫ ট্রিলিয়ন, যেটা বিশ্ব স্টক মার্কেটের $৩৬.৬ ট্রিলিয়ন মূল্যের প্রায় ৭৮%।

একইভাবে, গ্লোবাল বন্ড মার্কেটের মূল্য $৮২.২ ট্রিলিয়ন, যার মধ্যে ইউএস হচ্ছে $৩১.২ ট্রিলিয়ন। প্রতিটা লেনদেনে কোন না কোনভাবে ইউএসডি ব্যাবহার হচ্ছে।

ফেড এবং ইউএস গভমেন্ট শক্তিশালী ডলারে বিশ্বাসী

গত কয়েক দশক ধরে ফেড এবং ইউএস ট্রেজারি শক্তিশালী ডলার পলিসি বজায় রেখেছে। তাদের বিশ্বাস যে মনেটারি এবং ফিস্ক্যাল পলিসি ইউএসডির এক্সচেঞ্জ রেট শক্তিশালী রাখার প্রচেস্টা করবে। এটা ইউএস এবং অন্যান্য দেশের জন্য লাভজনক হবে।

অনেক দেশের কারেন্সির ভ্যালু ইউএসডির উপর নির্ভরশীল

ডলার রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ব্যাবরিত হয়। আবার অনেক দেশ তাদের লোকাল কারেন্সির সাথে ডলারের কারেন্সি পেগ করে।

যখন কোন দেশ এরকম করে, সেদেশের সরকার একটা ফিক্সড প্রাইসে ডলার বাই এবং সেল করতে প্রস্তুত থাকে।

যেখানে সরকার মানি সাপ্লাই বাড়াতে অথবা কমাতে পারে, তাদের সমপরিমান ডলার রিজার্ভ রাখতে হয়।

এটা বিশ্বে ডলারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাক্ত করে, কারন অনেক অর্থনীতি ডলারের উপর নির্ভরশীল।

যদি ডলারে বড় ধরনের ফল হয়, এটা যেসব দেশ ডলারে তাদের কারেন্সি পেগ করেছে, তাদের উপর বিশাল রকমের প্রভাব পড়বে।

ইউএসডির প্রয়োজনীয় কিছু ইকোনোমিক ইনডিকেটর

Non-farm employment change (NFP) - NFP হল কর্মসংস্থানের রিপোর্ট যেটা বিগত মাসে কতজন চাকরি পেয়েছে/হারিয়েছে তার হিসাব রাখে।

জিডিপি - গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) রিপোর্ট দেশের সর্বমোট চূড়ান্ত পণ্য ও সেবার ভ্যালু পরিমাপ করে।
রিটেইল সেলস – এটা রিটেইল লেভেলে সর্বমোট মাসিক কত সেল হল তার হিসাব রাখে। এই রিপোর্টের কোর ভার্সনে যানবাহনের সেল ধরা হয় না।

কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (CPI) - সিপিআই জিনিষপত্র বা সেবাদ্রব্যের একটি নির্দিষ্ট বাস্কেটের মূল্যের পরিবর্তন পরিমাপ করে। এর কোর অ্যাকাউন্টে খাদ্যদ্রব্য এবং এনার্জির প্রাইস বাদ দেয়া হয় এদের প্রাইসের বেশী ওঠানামার কারনে।

পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার – এটা CPI এর মত রিপোর্ট যেহেতু এটা ইউএস কনজুমার পণ্যদ্রব্যের প্রাইস পরিবর্তনের হিসাব রাখে। এটার উপর নজর রাখার কারন হল যে ফেড মনেটারি পলিসি ডিসিশন নেয়ার আগে এর দিকে নজর দেয়।

ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজুমার সেন্টিমেন্ট – প্রতিমাসে মিশিগান ইউনিভার্সিটি কনজুমার সেন্টিমেন্ট রিপোর্ট পাবলিশ করে। এই ইনডেক্স কনজুমারদের ইকোনোমির উপর কেমন আস্থা আছে সেটার পরিমাপ করে। ইকোনোমির উপর কনজুমারদের যত বেশী আস্থা থাকে, তারা তত বেশী খরচ করতে উৎসাহী থাকবে।

ইউএসডিকে মুভ করায় কে? 

গোল্ড 

ইনফ্লেশনের কারনে যখনই ডলারের ভ্যালু হারানোর রিস্ক থাকে, ইনভেস্টররা নিরাপত্তার জন্য গোল্ডের দিকে নজর দেয়। অন্যান্য ফিনান্স্যিয়াল আসেটের মত, গোল্ড এর ধাতুমূল্য হারায় না। মামা গোল্ড হল গোল্ড – এটা সবজায়গায় একই রকম। তাই যখন গোল্ডের প্রাইস বাড়ে, তখন এটা সংকেত দেয় যে ডলারের ভ্যালু কমতে পারে।

আমেরিকাতে ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট 

মৌলিকভাবে, যখন আমেরিকাতে পজিটিভ ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট হয় সেটা ইনভেস্টমেন্ট আকর্ষিত করার কথা। একজন ইনভেস্টরের আমেরিকাতে ইনভেস্ট করতে ডলারের প্রয়োজন হবে। তাই যখন ইউএসএতে ইনভেস্টমেন্টের ডিমান্ড বাড়বে, গ্রীনব্যাকের ডিমান্ডও বাড়বে।

ক্যাপিটাল ইনফ্লো এবং আউটফ্লো

জাপান এবং লন্ডনের তুলনায়, ইউএস হয়ত সবচেয়ে গভীরতম এবং সবচেয়ে অ্যাডভান্সড ফিনান্স্যিয়াল মার্কেট। এটা বিশ্বজুড়ে অনেক সুলতান, রাজা-বাদশা, বিলিয়নেয়ার এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের অনেক ধরনের ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ করে দেয়।

এসব আমেরিকান অ্যাসেটে ইনভেস্ট করতে ইনভেস্টরদের তাদের কারেন্সি প্রথমে ডলারে কনভার্ট করতে হয়। ইউএস ফিনান্স্যিয়াল মার্কেটের ক্যাপিটাল ইনফ্লো এবং আউটফ্লো ইউএস ডলারের উপর চরম প্রভাব ফেলতে পারে।

পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট

যেহেতু বেশীরভাগ কারেন্সি ট্রান্সাকশনে ইউএসডি ব্যাবহার করা হয়, বিশ্বের যেকোনো মেজর ডেভেলপমেন্ট (যেমন অস্ট্রেলিয়ায় শক্তিশালী জিডিপি, বেইজিঙে স্টক মার্কেট ক্রাশ, গডজিলার টোকিয়ো ভ্রমন) ডালের সর্ট-টার্মে প্রভাব ফেলে।

বন্ড ইয়েল্ডে পার্থক্য 

ইনভেস্টররা সবসময় তাদের অর্থের সেরা ব্যাবহারের চেষ্টা করে, তাই ইউএস এবং অন্যান্য দেশের বন্ড ইয়েল্ডের পার্থক্যের উপর নজর রাখা জরুরী।

যদি ইনভেস্টররা দেখে যে অন্যান্য দেশের বন্ড ইয়েল্ড বাড়ছে আর ইউএসএর বন্ড ইয়েল্ড স্থির অথবা কমছে, ইনভেস্টররা তাদের ফান্ড ইউএস বন্ড (ডলার সেল করবে) মার্কেট থেকে সরিয়ে নেবে এবং ফরেন বন্ড কেনা শুরু করবে।

ইন্টেরেস্ট রেট সম্পর্কে গুজব

মার্কেটের অংশগ্রহিরা ইন্টেরেস্ট রেটের দিকে নজর রাখে, আপনিও রাখবেন।

যদি ফেড ইন্টেরেস্ট রেট বাড়ায়, এর মানে ডলার ডিনমিনেটেড ফিনান্স্যিয়াল অ্যাসেটের (যেমন ট্রেজারি) ডিমান্ড বাড়তে পারে, যেটা ডলারের জন্য বুলিশ সংকেত।

যদি ফেড ইন্টেরেস্ট রেট কমায়, এটা অ্যাসেটের ডিমান কমিয়ে আনতে পারে এবং আমরা ইনভেস্টরদের তাদের ফান্ড ডলার থেকে সরিয়ে নিতে দেখতে পারি।

ফেডের কর্মকর্তারা সাধারনত ভবিষ্যৎ ইন্টেরেস্ট রেটের পরিবর্তনের সংকেত দিয়ে থাকে, তাই পলিসিমেকারদের ভাষণের সময় কান খোলা রাখবেন।

ইউএসডি ট্রেডের কৌশল

এতক্ষণ আমরা যা জানলাম সেগুলো ইউএসডি ট্রেডের কিছু কৌশল দেখি।

ইউএস এর অর্থনৈতিক ডেভেলপমেন্ট এবং অন্যান্য মেজর দেশগুলোর ইকোনোমিক ডাটার মধ্যে পার্থক্য বিচার করে, ইউএসডি ট্রেড শুরু করা একটা ভালো কৌশল। যেমন, ইউএসডি রিটেইল সেলের ভালো নিউজ এবং ইউকের চাকরির বাজারের খারাপ খবর আপনাকে জিবিপি/ইউএসডি সেল করার জন্য একটা ভালো সুযোগ দিয়ে থাকে।

ইউএস ডলার ইনডেক্স অথবা ইউএসডিএক্স, যেটা ইউএসডির বিপরীতে একটা ফিক্সড বাস্কেটের কারেন্সি গনায় ধরে ইউএসডির পারফর্মেন্স ট্রাক করে। এটা আবার ইউএসডির স্ট্রেনথের ব্যারোমিটার হিসেবে কাজ করে। সবসময় ইউএস ডলার ইনডেক্সের দিকে চোখ রাখলে, আপনি ধরতে পারবেন যে ইউএসডি কোন দিকে যাচ্ছে।

ইউএসডিএক্স উপরে উঠলে এটা আপনাকে সংকেত দেয় যে ইউরো/ইউএসডি সেলের সময় হয়েছে।

ফেড ফান্ড রেট বাড়ার কথা বিবেচনায় আসলে, এটা সংকেত দেয় যে ইউএস অ্যাসেটগুলো হায়ার রিটার্ন দিবে, যেটা ট্রেডারদের ইউএসডি বাই করতে উৎসাহিত করবে। আপনি পিছনে পরে থাকবেন কেন?

মনেটারি পলিসির কথা আলোচনায় আসলে, যেগুলো সাধারনত ফেড অফিসিয়ালদের বক্তৃতার মধ্যে থেকে বুঝে নিতে হয়, সেগুলো ইউএসডির ডায়রেকশন সম্পর্কে ধারনা দিতে পারে।

হকিশ (Hawkish) মন্তব্যসমুহ ইউএসডি/জেপিওয়াই বাই করার জন্য এবং ডোভিশ (dovish) মন্তব্যসমুহ সেল করার জন্য সিগন্যাল হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।

Contact Us

নাম

ইমেল *

বার্তা *

সূচীপত্র

ওয়েবসাইটে উপলব্ধ সকল ম্যাটেরিয়াল শেখার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা এবং বিনিয়োগের জন্য উপযোগী নয়।
আপনার সাথে জড়িত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে কোন লাভ অথবা ক্ষতির ভার পিপকমিউনিটি বহন করবে না।
কপিরাইট © ২০১৭ পিপকমিউনিটি - বাংলা ফরেক্স স্কুল | Bangla Forex School। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Scroll Up